মাদারীপুরে ইউপি নির্বাচনে ভোট না দেয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে বেদম মারধরের অভিযোগ উঠেছে পরজিত চেয়ারম্যানের কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়নের দিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহম্মেদ মাতুব্বরকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গত ২৮ নভেম্বর মাদারীপুর সদর উপজেলার কুনিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে টেলিফোন প্রতিক নিয়ে অমিত হোসেন কবির বিজয়ী হয়। অপরদিকে ঘোড়া প্রতিক নিয়ে ইসমাইল মাতুব্বর পরাজিত হন।
এরই জেরে সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে পরাজিত চেয়ারম্যানপ্রার্থীর ছেলে বেলায়েত মাতুব্বর দলবল নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহম্মেদ মাতুব্বরের উপর হামলা চালায়। এ সময় বাঁশের লাঠি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে মুক্তিযোদ্ধাকে আঘাত করা হয়।
মুক্তিযোদ্ধার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা।নির্বাচনে পরাজিত হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবী আহত মুক্তিযোদ্ধার। এ ঘটনার বিচার দাবী করেছেন আহত মুক্তিযোদ্ধা ও তার স্বজন এবং তার সহযোদ্ধারা। এদিকে এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দা সিদ্দিক মাতুব্বর বলেন, যারা জীবন বাজি করে দেশ স্বাধীন করেছে, তাদের উপর হামলা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যারা বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহম্মেদের উপর হামলা চালিয়েছে আমার এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহম্মেদ মাতুব্বরের মেয়ে শিরীন আক্তার বলেন, নির্বাচন শেষ হবার পরপরই তারা হেরে গিয়ে বেশ কয়েকবার আমাদের উপর হামলা চালানোর চেষ্টা করে। শেষমেষ আমার বাবার উপর হামলা চালিয়েছে। এই ঘটনার বিচার চাই।
আহত বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহম্মেদ মাতুব্বর বলেন, ইসমাইল মাতুব্বর নির্বাচনে হেরে গেছে। আমি নির্বাচনে তার সার্পোট দেইনি, তাই আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইসমাইল মাতুব্বরের ছেলে বেলায়েত লোকজন নিয়ে হামলা চালায়। আমি এই হামলার সুষ্ঠু বিচার দাবী করছি।
মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) চাইলাউ মারমা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার উপর হামলার ঘটনায় কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। যারা এই হামলার সাথে জড়িত তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে। বেশকয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে, শিগগিরই অপরাধীরা ধরা পড়বে। এদিকে এ ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে অভিযুক্তরা।